৩৪ মাস পর জামিনে মুক্ত সাবেক সাংসদ আমানুর

আমানুর রহমান খান
আমানুর রহমান খান

৩৪ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টায় তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বের হন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

এ উপলক্ষে টাঙ্গাইল কারাগারের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার বলেন, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের কাগজপত্র গতকাল সোমবার রাতেই কারাগারে পৌঁছায়। পরে সকালে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। সে সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে কারাগারে থাকাকালেই দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি বের হয়ে আসে। সেই মামলাতেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া কারাগার থেকে ঘাটাইলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার এক মামলায়ও অভিযুক্ত হন তিনি।

এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আমানুর জামিন লাভ করেন। সর্বশেষ গত সোমবার তিনি উচ্চ আদালত থেকে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামিন পান। ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর ছাড়াও তাঁর অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাও আসামি। তাঁরা সবাই আত্মগোপনে আছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এর সাত মাস পরেই ফারুক হত্যা মামলায় তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসে। ওই বছর নভেম্বরে তিনি আত্মগোপন করেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে দল মনোনয়ন দেয়নি। ওই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন আমানুরের বাবা আতাউর রহমান খান।