গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার হাতে চাচা খুন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্র ধরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পানাউল্লাহরচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম দুলাল মিয়া (৫৮)। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, আক্তার মিয়া ও বাছির মিয়া। আক্তার ও বাছির সম্পর্কে দুলালের আপন বড় ভাইয়ের ছেলে। তাঁরা পানাউল্লাহরচর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দুলালের সঙ্গে তাঁর ভাতিজাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর আগেও পক্ষ দুটির মধ্যে একাধিকবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় সোমবার দুলাল বাড়ির সীমানা থেকে একটি গাছ কাটছিলেন। এতে বাছির ও আক্তার বাধা দেয়। এই নিয়ে পক্ষ দুটির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে রাত পৌনে আটটার দিকে দুলালকে পেয়ে বাছির ও আক্তার দা দিয়ে কুপাতে থাকে। দুলালকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান ছেলে মিজান মিয়া ও স্ত্রী স্ত্রী রেহেনা বেগম। আক্তার ও বাছির তাঁদের ওপরও হামলা চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুলালকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হাসপাতালে আনার আগেই দুলালের মৃত্যু হয়।


মিজান মিয়া জানান, কাল বিকেলে তাঁদের সীমানায় বেড়ে ওঠা একটি গাছ কাটা হচ্ছিল। যে জায়গা থেকে গাছ কাটা হচ্ছিল এই নিয়ে বিরোধ নেই। কিন্তু বাছির ও আক্তার তাতেও এসে বাধা দেন। বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, শেষে কুপিয়ে আমার বাবাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেন।

ঘটনার পর পর বাছির ও আক্তার গা ঢাকা দেন। তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, নিহত দুলালের কারণে সম্পত্তি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের নিষ্পত্তি হচ্ছিল না। এই নিয়ে বাছির ও আক্তারের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সম্পত্তি ও গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে ভাতিজাদের দায়ের কোপে দুলালের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি।