কলসিন্দুরের দুই কিশোরী ফুটবলার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

সাজেদা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
সাজেদা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের দুই কিশোরী ফুটবলার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্বরে আক্রান্ত দুই কিশোরী ফুটবলার হলো মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা আক্তার। তারা দুজনেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে আবাসিক ক্যাম্পে অনুশীলনে থাকা অবস্থায় প্রায় ১০ দিন আগে তারা জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে গত রোববার মার্জিয়া আর সাজেদা নিজেদের ইচ্ছায় জ্বর নিয়েই অভিভাবকের সঙ্গে কলসিন্দুর গ্রামে আসে। ঢাকায় থাকার সময় বাফুফের উদ্যোগে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। গত সোমবার রাতে বাফুফের পক্ষ থেকে রক্ত পরীক্ষার ফল দেখে জানানো হয়, মার্জিয়া ও সাজেদা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। পরে আজ তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফুটবলার মার্জিয়া ও সাজেদার রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, দুজনেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। তাদের আরও আগেই ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। তবে দুজনই প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে হচ্ছে।

ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বাফুফের সমালোচনা করে বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। মার্জিয়া আর সাজেদার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর এভাবে গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। ঢাকায় চিকিৎসা করানো উচিত ছিল।

আজ দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় মার্জিয়া ও সাজেদার সঙ্গে। তারা জানায়, প্রায় ১০ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর বাফুফের কর্মকর্তারা তাদের রক্ত পরীক্ষা করান। তবে সেখানে পরীক্ষার ফল জানার আগেই তারা নিজেদের গ্রামে ফিরে আসে। তবে জ্বর পুরোপুরি কমেনি। গত সোমবার রাতে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

রাতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মালা রানীকে জানায় মার্জিয়া ও সাজেদা। সকালে মালা রানী তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

মালা রানী বলেন, মার্জিয়া ও সাজেদা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর বাফুফেতে যোগাযোগ করে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখাই। পরে সেখানে আরও পরীক্ষা করা হয়। দুপুরে মার্জিয়া ও সাজেদার শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়।