কুমিল্লায় শিশুহত্যায় চাচির যাবজ্জীবন

আদালত
আদালত

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. ইব্রাহিম হোসেন (৭) হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগও প্রমাণিত হওয়ায় আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নূরুন্নাহার বেগম মঙ্গলবার সকালে এই আদেশ দেন।

কুমিল্লার সরকারি কৌঁসুলি জুহিরুল ইসলাম সেলিম এই রায়ের বিষয়ে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

সাজা পাওয়া নারীর নাম হোসনে আরা বেগম। তিনি নিহত ইব্রাহিম হোসেনের বড় চাচি। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন।

ইব্রাহিমের বাড়ি বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের আবুল কাশেমের বড় ছেলে। অন্যদিকে হোসনে আরা ইব্রাহিমের বড় চাচা আবুল বাশারের স্ত্রী।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বেলা দেড়টার দিকে ইব্রাহিম নিখোঁজ হয়। এরপর ইব্রাহিমকে খুঁজে না পাওয়ায় পরদিন ১ এপ্রিল বরুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। ২ এপ্রিল বেলা দুইটার দিকে ইব্রাহিমের চাচি হোসনে আরা তাঁর প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি দেখতে পান বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে একটি লাশ পড়ে আছে। এতে তিনি চিত্কার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে বরুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ২ এপ্রিল বরুড়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইব্রাহিমের বাবা আবুল কাশেম মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে হোসনে আরাই ইব্রাহিমকে হত্যা করেছেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হোসনে আরা হত্যা ও লাশ গুম করার বিষয়টি স্বীকার করেন।