অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যু, পরিবারের পাশে চিকিৎসকেরা

অকালে প্রাণ হারানো তরুণ ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়ার (৩২) পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জুয়েলের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা জুয়েলের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। বিএমএ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাহবুব ইকবাল ও স্বাচিপ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম নৌসাদ খানের নেতৃত্বে সংগঠন দুটির নেতারা জুয়েলের বাড়িতে যান। এ সময় জুয়েলের বাবা আলা উদ্দিন তাঁদের প্রতি অনুরোধ রাখেন, এখন থেকে কোনো হাসপাতালে যেন ওয়ার্ডবয় কিংবা ঝাড়ুদার দিয়ে অস্ত্রোপচার করানো না হয়।

জুয়েলের মা ফরিদা বেগম তাঁর ছেলের অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদ তাঁদের সঙ্গে যে অপেশাদারির পরিচয় দিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে যেন তিনি আর এমন কিছু করতে না পারেন, সে ব্যাপারে নেতাদের পদক্ষেপ কামনা করেন। একই সঙ্গে চিকিৎসক কামরুজ্জামানসহ অস্ত্রোপচার কক্ষে থাকা সবার শাস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক নেতাদের সহযোগিতা চান তিনি।

জুয়েলের মা-বাবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নৌসাদ খান বলেন, ‘এ কথা সত্য, অনেক চিকিৎসকের ভিড়ে কিছু নৈতিকতা–বিবর্জিত চিকিৎসকও রয়েছেন। তাঁদের হাতে স্বাস্থ্যসেবা নিরাপদ নয়। চিকিৎসকদের মনে রাখা উচিত, স্বাস্থ্যসেবা মানে পয়সা উপার্জন নয়। আমরা কোনোভাবেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না বলেই আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।’ মাহবুব ইকবাল বলেন, ‘এই মৃত্যু কোনোমতেই কাম্য হতে পারে না। আমরা চিকিৎসকেরাও মর্মাহত। অস্ত্রোপচারে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকের যথাযথ নিয়ম মেনে চলা উচিত ছিল।’ এ ঘটনার পর থেকে ভৈরবের চিকিৎসকদের নীতিমালার আওতায় এনে পরিচালনার জন্য উপায় বের করার কাজ চলছে বলে জানান মাহবুব ইকবাল।

এ সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএ সহসভাপতি সজল কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সুলায়মান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এন কে জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।