প্রতিবন্ধী দুই বোনের জন্য ভাতা দাবি

প্রতিবন্ধী ভাতা বঞ্চিত দুই বোন। প্রথম আলো
প্রতিবন্ধী ভাতা বঞ্চিত দুই বোন। প্রথম আলো

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক পরিবারে সাত ভাইবোন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁদের মধ্যে পাঁচ ভাইবোনের প্রতিবন্ধীর কার্ড হলেও বাকি আছেন দুই বোন। তাঁরা কেউ কানে শোনেন না। কথাও বলতে পারেন না। বয়স বেড়ে যাওয়ায় চোখে ঠিকমতো দেখতে পান না। দুই বোনের কার্ড পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের শমশ্চুড়া গ্রামে মৃত ছফর উদ্দিনের ১১ সন্তানের মধ্যে দুই ভাই ও পাঁচ বোন বাক্‌, শ্রবণ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাঁদের দেখভালের জন্য ওই বাড়িতেই তাঁদের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৭৭) বসবাস করেন। এই সাত ভাইবোন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। একসময় তাঁরা ভিক্ষা করতেন। ২০০৮ সালে পরিবারটির করুণ জীবনযাপন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। তখন পরিবারটিকে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন অনেকে। নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান। তাঁরা অগ্রণী ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে দেন। এরপর থেকে হৃদয়বান মানুষ পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। সাত প্রতিবন্ধী ভাইবোনের মধ্যে হাজেরা বেগম, জয়নাল আবেদীন, রহিমা বেগম, ফাতেমা বেগম প্রতিবন্ধীর ভাতা পান। সম্প্রতি আজগর আলীকে কার্ড দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখনো তিনি ভাতা পাননি। শুধু রমিজা বেগম (৬০) ও কুলসুম বেগম (৪৭) কার্ড পাননি।

পোড়াগাঁও ইউপি সদস্য নবী হোসেন জানান, পরিবারটি অসহায়। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পাঁচ ভাইবোনের কার্ড দেওয়া হয়েছে। এখন কার্ড পেতে আর দুজন বাকি রয়েছেন। আশা করছেন পর্যায়ক্রমে তাঁরাও পাবেন। তিনি বলেন, সরকারিভাবে পরিবারটির জন্য বিশেষ কোনো বরাদ্দ দেওয়া গেলে অনেক উপকার হতো।

বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, সবার বয়স বাড়ায় বেশির ভাগ সময়ে তাঁরা অসুস্থ থাকেন। সরকারিভাবে একটা বন্দোবস্ত করা গেলে সবারই ভালো হতো। তিনি দুই বোনের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোহাম্মেল হক বলেন, এবারের বরাদ্দ শেষ হয়েছে। বিষয়টি কেউ তাঁকে জানাননি। আশা করছেন, আগামী বরাদ্দে সবার আগে ওই দুই বোনকে কার্ড পেতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।