মোটরযানে নিজের নাম ফেরত পেল মাগুরা

‘র’ দিয়ে মাগুরা লেখা ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগানো হচ্ছে জেলা প্রশাসকের গাড়িতে। গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে।  ছবি: প্রথম আলো
‘র’ দিয়ে মাগুরা লেখা ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগানো হচ্ছে জেলা প্রশাসকের গাড়িতে। গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে। ছবি: প্রথম আলো

মাগুরা জেলার নাম ‘র’ নাকি ‘ড়’ দিয়ে—এমন একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল সরকারি একটি দপ্তরের ভুলের কারণে। সরকারি সব নথিতে মাগুরা জেলার নাম ‘র’ দিয়ে লেখা হয়। তবে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জেলার মোটরযানে সরবরাহ করা রেট্রো রিফ্লেকটিভ বা ডিজিটাল নম্বর প্লেটে ‘ড়’ দিয়ে মাগুড়া লেখা হচ্ছিল। জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় সাত বছর পর বিষয়টি সংশোধন করেছে বিআরটিএ

গতকাল মঙ্গলবার থেকে ‘র’ দিয়ে মাগুরা লেখা নম্বর প্লেট বিতরণ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সকালে জেলার বিআরটিএ কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আলী আকবর। প্রথমে জেলা প্রশাসকের ব্যবহৃত গাড়িতে মাগুড়া নামের নম্বর প্লেটটি সরিয়ে মাগুরা নামের প্লেট লাগানো হয়।

বিআরটিএ বলছে, এখন থেকে নতুন সব নম্বর প্লেট সংশোধিত মাগুরা নামেই আসবে। তবে এরই মধ্যে ভুল বানানে মুদ্রিত হয়েছে প্রায় সাড়ে আট হাজার ডিজিটাল নম্বর প্লেট। ফলে সংশোধন হলেও পুরোনো আট হাজারের বেশি মোটরযানে সেই ভুল বানান থেকেই যাচ্ছে। এখন থেকে জেলার মোটরযানে ‘মাগুরা’ ও ‘মাগুড়া’—দুই ধরনের নম্বর প্লেটই চোখে পড়বে। 

বিআরটিএ মাগুরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশলী) এস এম মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩–এর ষষ্ঠ তফসিলে মোটরযানের ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বরে মাগুরা জেলার নাম ‘র’–এর জায়গায় ‘ড়’ অর্থাৎ ‘মাগুড়া’ ছিল। মূলত সেখান থেকেই ২০১২ সাল থেকে ভুল বানানে মুদ্রিত হতে থাকে এই জেলার নাম। গত বছর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের আবেদনের ভিত্তিতে বানান সংশোধনের উদ্যোগ নেয় বিআরটিএ। 

বিআরটিএর এই কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে আট হাজার নম্বর প্লেট ‘মাগুড়া’ নামে মুদ্রিত হয়েছে। সেগুলোর রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে কেউ যদি এটি সংশোধন করতে চান, তাহলে সরকারি ফি ২ হাজার ২৬০ টাকা জমা দিয়ে নতুন নম্বর প্লেট নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে বিআরটিএ মাগুরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক এস এম মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, বিআরটিএর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত হলো, আগের নম্বর প্লেটগুলো পুনর্মুদ্রণের সুযোগ নেই। কারণ, এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে।