শ্রীপুরে ২ কিলোমিটারে নাকাল মানুষ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ইজ্জতপুর বাজার থেকে হালুকাইদ নতুন বাজার পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই উপজেলার সাত গ্রামের মানুষ। এ সড়কের দুই পাশেই রয়েছে স্কুল–মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দুর্ভোগের মধ্যেই নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে।

সম্প্রতি ইজ্জতপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির শুরুতেই বড় তিনটি গর্তে পানি জমে আছে। লোকজন চরম কষ্টে জুতা হাতে নিয়ে গর্তে জমাটবাঁধা পানি মাড়িয়ে পথ চলছে। এর পরের অংশ কাদায় ভরা। ২ কিলোমিটার সড়কের শুরুতেই ইজ্জতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অবস্থান। এ ছাড়া সড়কের অন্যান্য অংশের পাশেও রয়েছে মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২ কিলোমিটার পেরিয়ে হালুকাইদ নতুন বাজার পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে পিচঢালাই সড়ক। এটি রাজাবাড়ী বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সড়কটি ধরে পাশের গাজীপুর সদর উপজেলায় যান এ এলাকার সাতটি গ্রামের মানুষ। দুই কিলোমিটার সড়ক বেহাল হওয়ায় দুই উপজেলার মানুষকে সড়ক যোগাযোগে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

ইজ্জতপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন জানান, মুক্তিযুদ্ধের পরপর এ সড়কটি তৈরি হয়। গাজীপুরের বিভিন্ন সড়ক পাকা করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। তিনি জানান, সড়কটি উন্নয়ন হলে হালুকাইদ, পাবরিয়ারচালা, কুড়লপাড়া, দলজুড়, ধলাদিয়া, রাজাবাড়ীসহ আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের মানুষের চলাচলে সুবিধা হবে। এতে জেলা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে। 

একই গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশজুড়ে সড়ক যোগাযোগে উন্নয়ন হলেও শিল্প এলাকার এ সড়কটিতে কেউ নজর দেয়নি। আমরা প্রতিদিন খুব কষ্টে এই সড়কে চলাচল করি।’ হালুকাইদ গ্রামের আবদুল মান্নান জানান, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য সড়কটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মাত্র ২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হলে সাতটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি লাঘব হতো।

এ বিষয়ে রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, এ সড়কটির বিষয়ে স্থানীয় সাংসদের কাছে দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সড়কের কাজ করবেন বলেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সড়কটিতে কাজ শুরু হওয়ার কথা।

রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘কালভার্টের পর হালুকাইদ পর্যন্ত ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু এখন তা ভেঙে গেছে। মানুষকে চরম কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে সড়কটিতে। আমরা চাই, সড়কটি দ্রুত উন্নয়নের আওতায় আসুক।’ 

শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছে। এ সড়কের বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ উদ্যোগ নিলে ও বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।