পুরস্কার পাচ্ছেন বই ও গাছ বিলানো মাহমুদুল

গাছের চারা নিয়ে ছুটছেন মাহমুদুল ইসলাম।
গাছের চারা নিয়ে ছুটছেন মাহমুদুল ইসলাম।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বই আর গাছ বিলানো মাহমুদুল ইসলামকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ ঘোষণা দেন।

মাহমুদুলের বাড়ি তেঁতুলিয়ার আজিজনগর গ্রামে। রংপুরের কারমাইকেল কলেজে পড়ার সময় থেকে নিজের টাকায় গাছ ও বই কিনে গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিলানো শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর এ কাজ ছড়িয়ে দেন তিনি।

মাহমুদুলের এ কাজ নিয়ে গত শনিবার প্রথম আলোর ছুটির দিনে সাময়িকীতে ‘বই আর গাছ বিলান মাহমুদুল’ শিরোনামে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

পুরস্কার ঘোষণার পর জানতে চাইলে মাহমুদুল আলম বলেন, ‘কোনো পুরস্কারের আশায় আমি এই কাজ করিনি। আমি ভাবতেই পারিনি মন্ত্রী আমাকে পুরস্কৃত করবেন। আমি এ রকম চমক জীবনে আর কখনো হয়তো পাব না। অনেক খুশি হয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি—যত দিন বেঁচে থাকব, যা–ই করি না কেন, এই কাজটির সঙ্গে থাকব।’

গতকাল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বেলা ১টা পর্যন্ত দিনাজপুরের রাজবাড়ি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও দিনাজপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন। প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী মাহমুদুল ইসলামকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।

বেলা দুইটার দিকে প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুর জেলা গণগ্রন্থাগারে দিনাজপুরের লেখকদের বইয়ের কর্নার উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শুধু ভালো ফল করে, সার্টিফিকেট অর্জন করে জীবনের উন্নতি লাভ সম্ভব নয়। জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে হলে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই থেকেও জ্ঞান আহরণ করে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের সুবিধা দেওয়ার জন্য ৭৬টি বইয়ের গাড়ি উদ্বোধন করা হয়েছে। বই নিয়ে এ গাড়িগুলো দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পাঠকের কাছে যাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নুরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রমুখ।