অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী

ফেনী
ফেনী

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৩) অপহরণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ির ফেরার পথে সে এ ঘটনার শিকার হয়।

পুলিশ ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্র জানা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় শেষে মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী। এ সময় সে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। ওই অটোরিকশায় আরও দুজন নারী ওঠেন। অটোরিকশাটি শান্তিনগর এলাকায় পৌঁছালে ওই দুই নারী হঠাৎ ছাত্রীর মুখ চেপে ধরেন। এ সময় তাঁরা কিশোরীটিকে সাদা পাউডার জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে মেয়েটি ওই দুজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির করে ও একপর্যায়ে চিৎকার দিয়ে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অটোরিকশাসহ ওই দুই নারী পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন কিশোরীটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদেকুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় এক স্কুলছাত্রীকে কয়েকজন লোক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা বেগতিক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন মেয়ের শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো। মেয়ে তাঁকে বলেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে দেখলে চিনতে পারবে। তবে নারী দুজনকে সে চেনে না। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কে বা কারা তুলে নেওয়া চেষ্টা করেছে বলে তিনি শুনেছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল পারভেজ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন ও থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।