টেন্ডারের কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারার সত্যতা পেয়েছে দুদক

লক্ষ্মীপুর জেলায় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণকাজে অনৈতিক ভাগ-বাঁটোয়ারার সত্যতা পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে এ অনিয়মের সত্যতা পান দুদক কর্মকর্তারা। দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোবেল আহমেদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণকাজের ১২ কোটি টাকার কাজ কৌশলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত ২৩ জুন ওই কাজের দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ওই দিন সমঝোতার মাধ্যমে দরপত্র দাখিল করা হয়।

এর আগে গত ২০ জুন ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। ওই দিন সাধারণ ঠিকাদারদের কোনো দরপত্র কিনতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই দিন উপজেলা পরিষদে অবস্থান করেন। এ কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্র কিনতে সাহস করেননি।
৬০টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এসব সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোবেল আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১২ কোটি টাকার সেতু ও কালভার্টের টেন্ডার ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে কাগজপত্র দেখে ভাগ-বাঁটোয়ারার সত্যতা পাওয়া যায়। দরপত্রটি বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে সুপারিশ করা হবে। তা ছাড়া ভাগ-বাঁটোয়ারা ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ থাকবে।