গাজীপুরে অপহৃত তিন ছাত্রী, রাজশাহীতে একজন উদ্ধার

গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে তিন স্কুলছাত্রীকে বুধবার সকালে অপহরণ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত আটটার দিকে ওই তিনজনের একজন গাড়িটি থেকে পালাতে পারায় এ ঘটনা জানা গেছে।

মাইক্রোবাস থেকে পালাতে পারা মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গাড়িতে থাকা অন্য দুজন একই শ্রেণিতে পড়ে।

রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা হাসিবুর রহমান চৌধুরী (৬৫) মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আজ রাত আটটার নগরের তালাইমারী মোড়ে তাঁর ওষুধের দোকানের সামনে দৌড়ে এসে স্কুলড্রেস পরা একটি মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তিনি মেয়েটির কাছ থেকেই অপহরণের ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে তিনি মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানান। ওসি থানা থেকে লোক পাঠাতে চান। তবে পুলিশের দেরি হচ্ছিল দেখে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে মেয়েটিকে রেখে আসেন।

মেয়েটির ভাষ্য মতে, সকাল নয়টার দিকে তারা বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে একটি মাইক্রোবাস হঠাৎ তাদের গতি রোধ করে। এ সময় দ্রুত তাদের তিন সহপাঠীকে মাইক্রোবাসটিতে তোলা হয়। এরপর তার আর জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফেরার পরে গাড়িটি এক জায়গায় দাঁড়ালে সে দরজা খুলে লাফ দেয়। এরপর দৌড়ে ওই দোকানে যায়। পরে জানতে পারে সে রাজশাহীতে। মেয়েটির জানিয়েছে, মাইক্রোবাসটিতে অন্তত ১৩ জন অপহরণকারী আছে।

মুঠোফোনে ওই মেয়েটির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সকাল আটটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে কাজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। এরপর রাজশাহীর মতিহার থানার একজন এসআই তাঁকে মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন।

মেয়েটির মা আরও বলেন, ‘তাঁর ভাশুরসহ তিনজন রাতেই মেয়েকে উদ্ধার করতে রাজশাহীতে রওনা দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, মাইক্রোবাসটির সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা গাড়িটির কোনো খোঁজ পায়নি। মেয়েটি তাদের হেফাজতে রয়েছে।