আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অচেতন নুসরাতের মা

নুসরাত জাহান।
নুসরাত জাহান।

‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নির্দেশে তারা আমার মেয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়। আমি সকল অপরাধীর ফাঁসি চাই। আসামিরা সবাই তা আদালতে স্বীকারও করেছে। আমার মেয়ের হাত ধরেছে কে, পা ধরেছে কে, আগুন লাগিয়েছে কে, মুখ চেপে ধরেছে কে...অধ্যক্ষের নির্দেশে আমার মেয়ের গায়ে আগুন দেওয়া হয়।’

বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলে। জেরা শেষে কাঠগড়াতেই অচেতন হয়ে পড়ে যান নুসরাতের মা।

এ নিয়ে নুসরাত হত্যা মামলায় তাঁর মাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হলো। বৃহস্পতিবার আবুল খায়ের নামে মাদ্রাসার পরীক্ষার হলের একজন পরিদর্শকের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে কাঠগড়াতেই অচেতন হয়ে পড়েন নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার। প্রায় ১৫ মিনিট চেষ্টার পরও চেতনা না ফিরলে তাঁকে ফেনী হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। বিকেলে কিছুটা সুস্থ হলে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নুসরাতের মায়ের সাক্ষ্য প্রদান ও জেরার সময় তাঁকে সহায়তা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ ও বাদী পক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু। তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, আহসান কবীর বেঙ্গল ও ফরিদ উদ্দিন নয়ন।