জাহালমকে শনাক্তে ভুল দুদকের

জাহালম।  ফাইল ছবি
জাহালম। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুলে জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করার ঘটনাটি ঘটে। আর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুল পথে চালিত করতে ভূমিকা রেখেছেন ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তারা এবং অ্যাকাউন্টের (ব্যাংক হিসাব) ভুয়া ব্যক্তিকে পরিচয় দানকারীরা। পাটকলশ্রমিক জাহালমের বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সঠিক ঘটনা তথা সত্য উদ্‌ঘাটন করে আদালতের কাছে উপস্থাপন করা তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা বা অন্য কারও ওপর এই দায়িত্ব অর্পণের কোনো সুযোগ নেই।

দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী মঙ্গলবার বেলা দুইটায় শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

গত ২৭ জুন আদালত জাহালমের ঘটনায় দুদকের দায় আছে কি না, তা নির্ণয় করে গঠিত কমিটিকে ১১ জুলাই (আজ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শিরোনামে গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন আবু সালেক নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু দুদক সালেকের স্থলে জাহালমকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। প্রতিবেদনটি সেদিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তি দিতে আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন। প্রায় তিন বছর পর সেদিন মুক্তি পান তিনি।