সাংসদেরা বকাউল্লাহ, সংসদ গরিবউল্লাহ: মেনন

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

গ্যাসের দাম নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করার জন্য নোটিশ দিয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। অন্য একজন সাংসদকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, সাংসদেরা হচ্ছেন বকাউল্লাহ তাঁরা বকে যান, ক্ষমতাসীনরা শোনাউল্লাহ, শুনে যান। আর সংসদ হচ্ছে গরিবউল্লাহ। তিনি মনে করেন, গ্যাসের দাম নিয়ে আলোচনা না হলে এই সংসদ আরও গরিব হয়ে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।

গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে গত রোববার সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন। গ্যাসের দাম নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য তিনি কার্যপ্রণালি বিধির ৬৮ ধারায় নোটিশ দিয়েছিলেন।

আজ সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মেননের নোটিশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নোটিশ গৃহীত হয়েছে না বাতিল হয়েছে তাও মেননকে জানানো হয়নি। এ কারণে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রুলস অব প্রসিডিউরে আছে, সুতরাং এটা সম্পর্কে জানার অধিকার আমার আছে। অবশ্য আমাদের সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল আমাকে বলছিলেন, খামকা এটা নিয়ে ইনসিস্ট করে লাভ নেই। কারণ আমরা হচ্ছি বকাউল্লাহ আর ওনারা শোনাউল্লাহ আর এই সংসদ হচ্ছে গরিবউল্লাহ।’

স্পিকারের উদ্দেশে মেনন বলেন, ‘যদি এই আলোচনাটা না হয় তাহলে সংসদ আরও গরিব হবে বলে আমার ধারণা। আমি এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য চাচ্ছি।’

মেননের বক্তব্যের জবাবে বৈঠকের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘মাননীয় সদস্য আপনারা শুধু বকাউল্লাহ বকাই নন, আর আমরা শোনাউল্লাহ শোনাই নই, আপনারা বক্তব্য রাখেন সে বিষয়ে কিন্তু সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আপনার ৬৮ বিধির নোটিশটি, আমি সেদিনও বলেছি, এটা মাননীয় স্পিকারের বিবেচনাধীন আছে। বিবেচনা করা হবে না, এমনতো কোনো কথা নেই। বিষয়টি আমরা আপনাকে পরে অবহিত করব।’

রোববার মেনন সংসদে বলেছিলেন, গ্যাসের দাম নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য তিনি ৬৮ বিধিতে একটি নোটিশ দিয়েছেন। হাসানুল হক ইনু, মইন উদ্দীন খান বাদল, ফজলে হোসেন বাদশা, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং লুৎফননেসা খান তাঁর নোটিশে সমর্থন করেছেন।

ওই দিন জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম জানতে চেয়েছিলেন, সংসদ অধিবেশন চলাকালে সংসদে আলোচনা ছাড়া গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বৈধ হয়েছে কি না?