প্রবাসীর উদ্যোগে বাঁধের ভাঙন মেরামত

নদের ওপর রেলসেতু। নিচে নদের বাঁধ ঘেঁষে পাকা সড়ক। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঁধের কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ঝুঁকিতে পড়ে সড়ক ও সেতু।

এই অবস্থায় স্থানীয় এক প্রবাসী গতকাল ভাঙনকবলিত স্থানটি মেরামত করে দেন। ওই স্থানটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে কটারকোনা-হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সড়কে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সড়কটি মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মনু রেলসেতুর নিচে বাঁধের ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় নদে পানি বেড়ে গেছে। পানির তোড়ে গত বৃহস্পতিবার বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটিতে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় মাহতাবপুর গ্রামের বাসিন্দা এ আর নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি দেশে ফেরেন। গতকাল তাঁর উদ্যোগে ভাঙনকবলিত স্থানে মেরামতকাজ হয়। ওই স্থানে অন্তত ২০০ বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছে।

এ আর নোমান মুঠোফোনে বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে নিজেরাই চলাচল করি। খুবই ঝুঁকির মধ্যে ছিল স্থানটি। বাঁধ ভাঙলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতো। রেলসেতুর ক্ষতি হতো। পাশাপাশি এলাকায় বন্যা দেখা দিত। তাই মেরামতের উদ্যোগটা নিই। তেমন টাকা খরচ পড়েনি। বাঁধটা আপাতত রক্ষা পেয়েছে, এটাই বড় কথা।’

হাজীপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত বলেন, ওই স্থানে গত বছর (২০১৮) দুই দফা মেরামতকাজ করানো হয়েছিল, কিন্তু টেকেনি। প্রবাসী নোমানের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, মনু নদের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ মেরামতে এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে মনু রেলসেতুর নিচে বাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে ব্লকের কাজ হবে।