শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নারী সংহতি, উত্তরা অঞ্চলের নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে এই মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ হয়। সমাবেশে সারা দেশের নারী-শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান নারীরা।

নারী সংহতি উত্তরা অঞ্চলের আহ্বায়ক সুলেখা রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, একের পর এক নারী ও শিশু ওপর নৃশংস নিপীড়ন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে আমরা কেউ জানি না এরপর কাকে, কোথায় এমন নৃশংসতার শিকার হতে হবে? কাল হয়তো খবরের কাগজে আমরা যে কেউ ধর্ষণের শিকার হয়ে আরেকটা খবর হব।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কানিজ ফাতেমা বলেন, দেশে ন্যায়বিচার না থাকায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে। এই রাষ্ট্রে নাগরিক হিসেবে নারীর পূর্ণ অধিকার নেই। সম্পত্তিতে, অভিভাবকত্বে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, ঘরে ভেতরেও শিশু ও নারীরা নিরাপদ নন। যে সমাজ-সংস্কৃতি ধর্ষক, নিপীড়ক আর অমানুষ তৈরি করে, সেই সমাজের মানসিকতা বদলাতে রাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা বলেন, সারা দেশের ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পৃক্ত। রংমিস্ত্রি, বাসচালক, শিক্ষক সবাই ধর্ষণ করছেন। নিপীড়ন ও ধর্ষণকারীরা জানেন তাঁদের কোনো বিচার হবে না, শাস্তি হবে না। এ কারণেই তাঁরা যা খুশি তা–ই করছেন। অথচ কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, সত্য কথা বললে, মানুষকে সাহায্য করলে উল্টো তাঁকেই শাস্তি পেতে হয়।

ফেনীর নুসরাতই হবে আমাদের সাহস, এই মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, দেশের এই অনিরাপদ অবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে এখান থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। এ ছাড়া এই অবস্থা পরিবর্তনের কোনো পথ খোলা নেই।

বিচারহীনতা, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে নারী সংহতি। সংগঠনটির উত্তরা অঞ্চলের সদস্য সামিয়া রহমানের সঞ্চালনায় সদস্য মুন্নি মৃ, তাসলিমা জুলকারনাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।