ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হতে দেব না : আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রানজে ত্রিঙ্কের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নিজের আবাসিক অফিস, গুলশান, ঢাকা, ১৪ জুলাই। ছবি: বাসস
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রানজে ত্রিঙ্কের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নিজের আবাসিক অফিস, গুলশান, ঢাকা, ১৪ জুলাই। ছবি: বাসস

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ব্যাহত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হতে দেব না।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজের আবাসিক অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রানজে ত্রিঙ্কের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডিয়ান হাইকমিশনারও এই বৈঠকে অংশ নেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য। এই আইনের অপব্যবহার আমরা হতে দেব না। সে জন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা তা করব।’ তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কূটনীতিকদের কিছু উদ্বেগ ছিল।

আনিসুল হক বলেন, ‘আজ মূলত আইনটির ৪৩ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের কথা শুনেছি এবং এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব বলে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি। এ ছাড়া এই আইনের বিধিমালা প্রণয়নের সময় এ বিষয়ে আবারও তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করতে না পারে, সেটা রোধে আমরা সবার সঙ্গে সহযোগিতা করব এবং সেই ব্যবস্থা করব। আর আইনটির যে ধারা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের কিছু অংশ আপত্তি জানাচ্ছে, তা আমরা বিবেচনা করব।’