কুমিল্লার আদালতে আসামির হাতে আসামি খুন

কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এই এজলাসে ফারুক হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আলামত সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখে। কুমিল্লা, ১৫ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এই এজলাসে ফারুক হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আলামত সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখে। কুমিল্লা, ১৫ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসের খাসকামরায় আজ সোমবার সকালে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন। নিহত যুবকের নাম ফারুক হোসেন (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত আসামির ফুপাতো ভাই আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্টের হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ফারুক ও হাসান। আজ জামিনে থেকে ওই মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তাঁরা। এ সময় ফারুক ও হাসানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসান কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন ফারুককে। ফারুক আত্মরক্ষার্থে আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন আদালতের লোকজন হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ফারুককে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘মামাতো-ফুপাতো ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছি এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ফারুক হোসেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি। ছবি: প্রথম আলো
ফারুক হোসেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি। ছবি: প্রথম আলো