নিবন্ধনের জন্য আবেদন ৮০০০ অনলাইন গণমাধ্যমের

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

নিবন্ধনের জন্য আট হাজারেরও বেশি অনলাইন গণমাধ্যম সরকারের কাছে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এই তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, আজই এ আবেদনের শেষ সময়।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত (তিন বছর আগে থেকে শুরু হওয়া আবেদন) আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক, সেই প্রসঙ্গটি এসেছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলোর প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা সক্ষমতা রাখে বা ‘অন্য কোনো উদ্দেশে’ দরখাস্ত করেনি সেগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। মন্ত্রী আশা করেন, যখন নিবন্ধন হবে তখন একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনায় অনলাইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে ‘বিশৃঙ্খলা’ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

আবেদন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে কত দিন লাগতে পারে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আট হাজারের বেশি আবেদন যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব করা হবে। যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের শিগগির নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। আর যেগুলোর ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন সেগুলোকে পরীক্ষা করা হবে।

নিউ মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এগুলো শুধু বাংলাদেশে নয়, সমস্ত পৃথিবীতেই বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আবার সুযোগটিও অবারিত রাখতে হবে।

আরেক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে অপব্যবহার না হয় সে জন্যও আলোচনা হয়েছে।

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনায় জেলা জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সব জেলায় স্থান নির্বাচনের জন্য ডিসিদের বলা হয়েছে।