অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

নমুনা পরীক্ষা করে বাজারের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলের আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও আচরণকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষক। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক বাজারের দুধের নমুনা যথাযথভাবে পরীক্ষা করে জনমনের উদ্বেগ নিরসন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের শিক্ষকবৃন্দ’ নামে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁরা জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসব বিষয়ে আরও গবেষণাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণা কার্যক্রমকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি এবং অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মুখেও অধ্যাপক ফারুক দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে তিনি নীতি নৈতিকতাবিরোধী কোনো কাজ করেননি। তাঁর গবেষণার ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরকারি কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরও গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধের মান নিয়ে জনমনে সন্দেহের অবসান ঘটাতে পারতেন। তা না করে অধ্যাপক ফারুককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জনপ্রতিনিধি, সরকারি আমলা ও বিভিন্ন কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যে আচরণ করছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার পরিবেশের জন্য এক বিরাট হুমকি। এই ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা গবেষণার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

বিবৃতিদাতা শিক্ষকেরা বলেন, ‘আমরা আরও হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ‘স্বায়ত্তশাসিত’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখানে অধ্যাপক ফারুককে কোনো সুরক্ষা ও সমর্থন তো দিচ্ছেই না, বরং নানাভাবে তাঁর ওপর আরও চাপ তৈরি করা হচ্ছে।’

বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন, আনু মুহাম্মদ, গীতি আরা নাসরীন, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, কাবেরী গায়েন, ফাহমিদুল হক, সৌভিক রেজা, রায়হান রাইন, কামরুল হাসান, মোশাহিদা সুলতানা, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, আইনুন নাহার, আ-আল মামুন, শরমিন্দ নীলোর্মি, সামিনা লুৎফা, মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, কাজী শেখ ফরিদ, সুবর্ণা মজুমদার, জাভেদ কায়সার, রুশাদ ফরিদী, বখতিয়ার আহমেদ, কাজী মারুফুল ইসলাম, কাজী মামুন হায়দার প্রমুখ।