ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রো বিধ্বস্ত, বর-কনেসহ ১১ আরোহী নিহত

ট্রেনের পথে বিয়ের গাড়ি। প্রাণ গেল ১১ জনের। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেনের পথে বিয়ের গাড়ি। প্রাণ গেল ১১ জনের। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি উন্মুক্ত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ জন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দা পাড়া গ্রামের বর রাজন আহমেদ (২২), কনে সুমাইয়া খাতুন (২১), তাঁর ভাবি মমতা বেগম (৩২), বরযাত্রী শরিফুল ইসলাম (৩৬), আবদুল মমিন (৩২), ভাষা (৬৫), আহাদ (২৫), টুটুল (২০), খোকন মিয়া (২১) ও মাইক্রোবাসের চালক স্বাধীন শেখ (২৮)। নিহতদের মধ্যে নয় বছরের একটি শিশুও রয়েছে, তার পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ বলেছে, মাইক্রোবাসটি উল্লাপাড়া পৌরসভার গুচ্ছগ্রাম এলাকা (কনে বাড়ি) থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দি পাড়ায় যাচ্ছিল। উল্লাপাড়ার সলপ রেলস্টেশনের রেলক্রসিং এলাকায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পদ্মা এক্সপ্রেস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সলপ ইউপির চেয়ারম্যান শওকত আলী গত রাত পৌনে আটটার দিকে বলেন, বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি রেললাইনের ক্রসিং পেরোনার সময় দ্রুতগামী ট্রেনটির সামনে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটিকে আধা কিলোমিটার দূরে ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে মাইক্রোবাসে থাকা বর-কনেসহ ৯ জন নিহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. নাদির  বলেছেন, মাইক্রোবাসে চালকসহ ১৫ জন ছিলেন। 

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিকম) অসীম তালুকদার বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনুমোদিত ক্রসিং নয়। স্থানীয় লোকজন নিজেদের সুবিধার জন্য সেটি ব্যবহার করত। দুর্ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।