ডিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ১৪ মামলার আসামি নিহত

নারায়ণগঞ্জে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের চাঁদমারী এলাকায় মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের পাশে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম বিপ্লব (৩১)। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চাঁদমারী এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। পুলিশের দাবি, তিনি এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ফতুল্লা থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ও মুখপাত্র সাজ্জাদ রুমন প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে চাঁদমারী এলাকায় অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে বিপ্লবের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল এবং দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

ডিবির সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকায় শিস বাজিয়ে মাদক ব্যবসা করত বিপ্লব ও তাঁর লোকজন। শহরের চাঁদমারী বস্তিটি মাদকের হাট হিসেবে পরিচিতি পায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে মাদক বেচাকেনা হতো। মাদক বিক্রির কাজে শিশুদেরও ব্যবহার করা হতো। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হতে হয়েছে তাদের। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ইউএনও গাউছুল আজম দফায় দফায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ওই এলাকাটি মাদকমুক্ত করেন। মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত শিশুদের জন্য ‘স্বপ্নডানা’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠান করেন। পরে গাউছুল আজম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে সেখানে বেশ কিছু দিন দায়িত্ব পালনের পর বদলি হয়ে যান। ‘স্বপ্নডানা’ স্কুলটি থাকলেও সেখানে আবার বিপ্লব ও তাঁর লোকজন মাদক ব্যবসা শুরু করেন।