ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের আরোহী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ট্রেনের পথে বিয়ের গাড়ি। সিরাজগঞ্জে প্রাণ গেল ১১ জনের। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেনের পথে বিয়ের গাড়ি। সিরাজগঞ্জে প্রাণ গেল ১১ জনের। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তদন্ত কমিটিটি গঠন করেছে পাকশী বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষ।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, যান্ত্রিক প্রকৌশলী অশোক রায় এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এস কে রায়।

এদিকে নিহত ১১ জনের পরিবারকে আজ মঙ্গলবার জেলা পরিষদ সিরাজগঞ্জের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে উল্লাপাড়ায় একটি উন্মুক্ত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হন। আহত হন চারজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দিপাড়া গ্রামের বর রাজন আহমেদ (২২), কনে সুমাইয়া খাতুন (২১), তাঁর ভাবি মমতা বেগম (৩২), বরযাত্রী শরিফুল ইসলাম (৩৬), আবদুল মমিন (৩২), ভাষা (৬৫), আহাদ (২৫), টুটুল (২০), খোকন মিয়া (২১) ও মাইক্রোবাসের চালক স্বাধীন শেখ (২৮)। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয় বছরের এক শিশুও রয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ বলেছে, মাইক্রোবাসটি উল্লাপাড়া পৌরসভার গুচ্ছগ্রাম এলাকা (কনের বাড়ি) থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দিপাড়ায় যাচ্ছিল। উল্লাপাড়ার সলপ রেলস্টেশনের রেলক্রসিং এলাকায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পদ্মা এক্সপ্রেস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে হতাহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. নাদির বলেছেন, মাইক্রোবাসে চালকসহ ১৫ জন ছিলেন।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিকম) অসীম তালুকদার বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনুমোদিত ক্রসিং নয়। স্থানীয় লোকজন নিজেদের সুবিধার জন্য সেটি ব্যবহার করত।