এরশাদের মরদেহ রংপুরে নেওয়া হয়েছে

এইচ এম এরশাদ।
এইচ এম এরশাদ।

এ তাঁর নিজের শহর। এখানে আসতেন সময়-সুযোগ মিললেই। চলতি বছরের ৩ মার্চ এসেছিলেন সর্বশেষ। আজ মঙ্গলবার আবার এলেন, তবে প্রাণহীন। রংপুরে এল দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ।

আজ দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে চতুর্থ ও শেষ জানাজার জন্য এরশাদের মরদেহ আনা হয়। এর আগে রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে এরশাদের কফিন বহন করা হেলিকপ্টার আসে।

সকাল থেকে দলে দলে হাজারো মানুষ আসতে শুরু করে ঈদগাহ ময়দানে। বেলা যত বাড়ছে, এ মাঠে বাড়ছে মানুষ। মাঠের তিনটি ফটক দিয়ে দলে দলে লোক ঢুকছে ময়দানে। প্রতিবছর অন্তত কোরবানি ঈদ এরশাদ রংপুরের করতেন। এ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। আজ এ মাঠে লাগানো মাইকে বারবার সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাঝে ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। এরশাদের মরদেহ মাঠে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে তাঁকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা।
উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা ও উপজেলার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে এরশাদের মরদেহ গ্রহণ করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টি নেতা মোস্তাফিজার রহমান।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়।
কফিনের সঙ্গে আছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

আজ বাদ জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে এরশাদের চতুর্থ জানাজা শেষে তাঁর কফিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কবরস্থানের তাঁকে সমাহিত করা হবে।