নকশা জালিয়াতির মামলা: জামিনে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান

আগুনে জ্বলছে এফ আর টাওয়ার। ভবন বেয়ে নিচে নামছেন কয়েকজন। বনানী, ঢাকা, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো
আগুনে জ্বলছে এফ আর টাওয়ার। ভবন বেয়ে নিচে নামছেন কয়েকজন। বনানী, ঢাকা, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো

বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম হারুন। একই মামলায় রাজউকের সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী ও সহকারী অথরাইজড অফিসার নজরুল ইসলামকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নকশা জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও দুই কর্মকর্তার আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শফিক আহমেদ, এ এম আমিন উদ্দিন প্রমুখ। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাবেক অপর দুই কর্মকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এর পরপরই ভবনটির নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এফ আর টাওয়ারের ৮ তলা ভবন পর্যন্ত নকশা অনুমোদন ও নির্মাণ বৈধভাবে হয়েছে। কিন্তু ১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণের জন্য অনুমোদনে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। শুরুতে ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে নকশা অনুমোদন না দিয়ে এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেয় রাজউক। পরে অদৃশ্য কারণে একই বছরের ডিসেম্বরে ১৮ তলার অনুমোদন দেয় রাজউক। অনুমোদন ফাইলে নোট হিসেবে লেখা ছিল, ‘যেহেতু আশপাশে ১৮ তলা ভবন আছে, তাই নকশা অনুমোদন দেওয়া যায়।’

গত ২৬ জুন নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এফ আর টাওয়ার ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১–এ মামলাটি করেন।