পোড়ানো হলো জেলি দেওয়া ২০ মণ বাগদা চিংড়ি

নানা কৌশলে বাগড়া চিংড়ির ওজন বাড়ানো হতো। আর এসব বাগদা ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি করা হতো। এ কাজ চলছিল রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর মৎস্য বাজারে। সেখানকার কয়েকটি আড়তে বাগদা চিংড়ি আনা হতো সাতক্ষীরা জেলা থেকে। সাতক্ষীরাতেই বাগদাগুলোর ওজন বাড়িয়ে ফেলা হতো। এ জন্য বাগদার মাথায় ভরে দেওয়া হতো ক্ষতিকর জেলি। এমন জেলি মেশানো প্রায় ২০ মণ বাগদা চিংড়ি উদ্ধার করা হয় আব্দুল্লাহপুর মাছের বাজারের বাগেরহাট মৎস্য আড়ত ও মিম মৎস্য আড়ত থেকে। আজ ভোরে এ অভিযান চলে। পরে এসব চিংড়ি পোড়ানো হয়।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৪ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সাতক্ষীরা থেকে বিপুল পরিমাণ বাগদা চিংড়ি ঢাকার বাজারে আসে—তাঁরা গোপন সূত্রে এমন তথ্য পান। সাতক্ষীরাতেই তরল জেলি সিরিঞ্জের মাধ্যমে বাগদা চিংড়ির মাথার ফাঁকা অংশে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। বরফের মধ্যে রাখলে এই জেলি শক্ত হয়ে বাগদা চিংড়ির ওজন বেড়ে যেত।

নিজাম উদ্দিন বলেন, এসব বাগদার কেজিপ্রতি পাইকারি মূল্য ৫০০ টাকা। খুচরা মূল্য প্রায় ৭০০ টাকা। যে পরিমাণ বাগদা উদ্ধার করা হয়েছে, এর পাইকারি বাজার মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে দুই আড়তের মালিক পালিয়ে গেছেন। কিন্তুএ দুটি আড়তের ম্যানেজারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন জানান, জব্দ করা বাগদা চিংড়ি আব্দুল্লাহপুরের পার্শ্ববর্তী সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ, এগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।