বন্যার পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ভেসে গেলেন

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বন্যার পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা গেছেন এক যুবক। স্রোতের টানে ডুবে তিনি মারা যান। এ ছাড়া রৌমারী উপজেলায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ভেলা থেকে পানিতে পড়ে এক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা দুটি ঘটে।

মারা যাওয়া যুবকের নাম মামুন (৩০)। তিনি উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের এ বি এম মুসার ছেলে। এ বি এম মুসা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তিনি জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে বন্যার পানিতে মামুন সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের টানে ডুবে যান। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পানিতে পড়ে নিখোঁজ তরুণের নাম সাইফুল ইসলাম (২৫)। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্ত্তিমারী চাকতাবাড়ী এলাকার আবদুস ছালামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁধ ভেঙে বাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় আজ বেলা ১১টার দিকে সাইফুল ইসলাম বাড়ি থেকে কলার ভেলায় করে মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে জমিতে থাকা বিদ্যুতের তার হাত দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভেলা থেকে পানিতে পড়ে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন তাঁকে খুঁজে না পেয়ে রৌমারী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গতকাল সোমবার কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধীসহ পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক বাবুল কুমার জানান, গতকাল উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা থানার গাছবাড়ী এলাকার মাইদুলের ১৮ মাসের শিশু মণি খাতুন খেলতে খেলতে পানিতে পড়ে মারা যায়। অষ্টমীর চরের খর্দ্দ বাঁশপাতারী গ্রামের ফরিদুল ইসলামের নয় মাস বয়সী শিশু হাসানুল হক চৌকি থেকে পানিতে পড়ে মারা যায়। রানীগঞ্জ থানার চুনমুল পাড়ার প্রতিবন্ধী বীথি (১০) পানিতে ডুবে মারা যায়।

এর আগে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্যাপারী গ্রামে বাড়ির পেছনে খেলতে গিয়ে হাবিবুল্লাহ (৬) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ওই গ্রামের কৃষক মাহবুরের ছেলে। হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আটোয়াটারী গ্রামের লোকমানের শিশুকন্যা আলো খাতুন (৩) পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।