তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

শেরপুরে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের দায়ে মো. মোস্তফা মিয়া (২৩) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারকে ভরণপোষণ বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মোস্তফা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত মোস্তফা নকলা উপজেলার কুড়েরকান্দা গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি মোস্তফা মিয়া প্রতিবেশী দরিদ্র পরিবারের তরুণীকে (১৮) ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি (মোস্তফা) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মোস্তফা আপস-মীমাংসার নামে সময়ক্ষেপণ করেন এবং ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই বছরের ৪ অক্টোবর ওই তরুণী বাদী হয়ে মোস্তফার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নকলা থানায় মামলা করেন। নকলা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দে আলী মিয়া ওই বছরের ২৩ নভেম্বর আসামি মোস্তফা মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই মধ্যে ওই তরুণী এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে সন্তানটির ‘বায়োলজিক্যাল’ পিতা মোস্তফা মিয়া বলে নিশ্চিত হয়।

সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আজ ওই রায় দেন। আদেশে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া ও আসামিপক্ষে মো. সিরাজুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।