শেরপুরে খালে অবৈধভাবে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ

বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেংগাড়ী খালে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।  প্রথম আলো
বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেংগাড়ী খালে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। প্রথম আলো

বগুড়ার শেরপুরে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চেংগাড়ী খালে তাঁরা জালের বেড়া দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে মাছ চাষ করছেন। এতে অন্য জেলেরা এখানে মাছ ধরার সুযোগে পাচ্ছেন না এবং খালে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

খাল দখল করে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত ওই দুই ব্যক্তি হলেন উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর গ্রামের বাসিন্দা কালাচাঁদ হাওলাদার ও রনজিত হাওলাদার।

 ঝাঁজর গ্রামের জেলে আনন্দ হাওলাদার বলেন, ওই গ্রামে অন্তত ১৫০ জেলে পরিবার বসবাস করে। তারা সবাই পাশের বাঙালি নদীসহ খাল ও বিলে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। কিন্তু বর্তমানে পাড়ের বাসিন্দারা নদীর মধ্যে কেউ কেউ গাছের ডাল ফেলে ঘের দিয়ে দখল করে রেখেছেন। একইভাবে খালেও জাল দিয়ে ঘিরে দখল করে তাতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে সেখানকার জেলে পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। 

 পাশের মথুরাপুর গ্রামের জেলে রতন হাওলাদার বলেন, অবৈধভাবে দখল করা খাল-নদী দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জলাশয় থেকে যেন সবাই মাছ ধরতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এতে স্থানীয় জেলে পরিবার বেশ উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, খালের চেংগাড়ী সেতুর দুপাশে অন্তত ৫০০ মিটার এলাকা জাল ও বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। জানা যায়, খালের এই অংশটুকু অনেকখানি গভীর। তাই এখানে মাছের দেখা মিলে বেশি। আবার এখানে মাছ চাষ করেও সহজে লাভবান হওয়া যায়। 

এই বিষয়ে কালাচাঁদ হাওলাদার বলেন, খালের দুধারে জমির মালিকদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি মাছ চাষ করছেন। তাতে বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা ছেড়েছেন। নিয়মিত খাবারও দিচ্ছেন তিনি। তবে এভাবে মাছ চাষ বৈধ নাকি অবৈধ তা তাঁর জানা নেই। 

অপর খাল দখলকারী রনজিত হাওলাদার বলেন, অন্য ব্যক্তিকে দেখে তিনিও খালে জাল ও বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করছেন।