মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে নারী নিহত: পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে হামিদা বেগম (৩২) নামের একজন নারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, নিহত নারীও একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে টেকনাফ থানার পুলিশ।

আজ বুধবার ভোররাত চারটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা বাজারের পূর্ব দিকে নাফ নদীসংলগ্ন খোলা জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোররাতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা বণ্টনকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে করছে—এমন তথ্য পায় পুলিশ। পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে তখনো গোলাগুলির ঘটনা চলছিল। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫টি পাল্টা গুলি ছোড়ে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একজন নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় দেশীয় দুটি অস্ত্র (এলজি), ৮টি কার্তুজ, ১২টি গুলির খোসা ও ৫ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, উপস্থিত লোকজন, স্থানীয় দফাদার ও গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) গুলিবিদ্ধ নারীকে হ্নীলার জাদিমোরার হামিদা বেগম বলে শনাক্ত করেন। পরে হামিদাকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগে গুলিবিদ্ধ নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর বুক ও পেটে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় দুজন নারীসহ ১৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন নারীসহ ২৬ জন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।