উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল যথেষ্ট ভালো ও গ্রহণযোগ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯–এর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯–এর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের প্রশংসা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো ফল করতে পারবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৩ দশমিক ৯৩ ভাগ পাস করেছে। এটা যথেষ্ট ভালো এবং গ্রহণযোগ্য ফল। আমি মনে করি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীরা আরও মনোযোগী হলে তারা আরও ভালো ফল করতে পারবে, সেটা আমার বিশ্বাস।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে গণভবনে এ বছর ২০১৯–এর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মাত্র ৫৫ দিনে ফল প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ছাত্রীদের পাসের হার বেশি হওয়ায় জেন্ডার সমতার কথাটি স্মরণ করিয়ে ছাত্রদেরও পাসের হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ছাত্রদের পাসের হারটা বাড়াতে হবে, যাতে জেন্ডার সমতাটা এসে যায়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারা দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), আলিম, এইচএসসি কারিগরি, এইচএসসি (ব্যবসায়ে প্রশাসন) এবং ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ (ডিআইবিএস) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এ বছর ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন কৃতকার্য হন।

সম্মিলিত পাসের হার হচ্ছে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং এর মধ্যে ৪৭ হাজার ২৮৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

৮টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার হচ্ছে ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ। পরে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী হাতে পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিজ্ঞান, কারিগরি ও কম্পিউটার শিক্ষা সম্প্রসারণে বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে ’৯৬ সালে তাঁর সরকারের আমলে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একটা সমাজকে উন্নত করতে হলে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিক্ষিত জাতি পারবে একটি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধভাবে গড়ে তুলতে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেইন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।