শেখ হাসিনার হাতেই দেশ নিরাপদ: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম, ১৭ জুলাই। ছবি: বাসস
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম, ১৭ জুলাই। ছবি: বাসস

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া এক দিনও আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চাই না। অব্যাহতভাবে জনগণের সমর্থন পেতে হলে সবাইকে জনগণের পাশে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন বিধায় জনগণও তাঁর পাশে আছে। শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ।’

আজ বুধবার দুপুরে ‘গণতন্ত্র বন্দী দিবস’ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নয়, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দী করা হয়েছিল। মানুষের অধিকার হরণের জন্য মূলত তখন তাঁকে আটক করা হয়। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দী দিবস নয়, গণতন্ত্রের বন্দী দিবস পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সে সময়ের সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা যদি সত্যিকারের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে প্রথমে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তারা করেনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ। তাঁর হাত থেকে যদি অন্য কারও হাতে যায়, তাহলে দেশ আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। দেশে আবার খুনখারাবি বাড়বে ও দেশ পথ হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই দেশের যে অগ্রগতি, এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে আজকের তরুণেরা যে স্বপ্ন দেখেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।’

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ব্রত। আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়নের ও দেশের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে হালুয়া-রুটি ভাগাভাগির রাজনীতি। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন ক্ষমতার হালুয়া–রুটি বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। হালুয়া-রুটি খেয়ে তখন যাঁরা বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা এখন বিএনপির বড় বড় নেতা। বিএনপির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য সেখানেই।’

আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। দলের মধ্যে অনেক সুযোগসন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের চিহ্নিত করতে হবে। সুযোগসন্ধানীদের আমাদের দরকার নেই। সবার দল করার অধিকার থাকলেও পদ পাওয়ার অধিকার নেই। দলের পদ দিতে হবে বেছে বেছে।’ তিনি বলেন, ‘দল এবং আমাদের আদর্শকে অনেকে সমর্থন করতে পারে, তাই বলে তাদের দলের পদ দিতে হবে, তা কিন্তু নয়। যাদের কারণে দলের বদনাম হয়, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

দলের দুঃসময়ের জন্য নেতা–কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এখন দলের সুদিন, এই সুদিন না–ও থাকতে পারে। দলের দুঃসময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নেতা-কর্মীদের ত্যাগী মনোভাব রাখতে হবে।