রিফাত হত্যা: তদন্ত শেষের আগে উপসংহার নয়

রিফাত শরীফ হত্যা
রিফাত শরীফ হত্যা

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে সামনে এনে যাতে কোনো রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলকে বাঁচানোর চেষ্টা না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। দোষী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো উপসংহার টানা যাবে না।

এ ছাড়া কুমিল্লায় আদালতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচিত সাম্প্রতিক এই দুটি ঘটনা আলোচনায় আসে।

আলোচিত রিফাত হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বিষয়টি আলোচনায় আনেন।
বৈঠক শেষে পীর ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বৈঠকে বলেছেন, মিন্নি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই তাঁকে তদন্তের আওতায়, আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে আশঙ্কা আছে, রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে সামনে এনে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কি না। এটি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে আছে।এ নিয়ে উপসংহার টানার সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার ‘বেটার’ তদন্ত চলছে। দোষী যে-ই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি আনা হবে। এ ছাড়া কুমিল্লার আদালতে হত্যার ঘটনায় কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেখতে হবে এখানে কার দুর্বলতা আছে। আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের ঘটনা আর অন্য কোনো হত্যার ঘটনা এক নয়। কমিটি বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে বলেছে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে জানানো হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ ডোপ টেস্ট প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি চাকরিতে ঢোকার সময় বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ছাড়া কমিটি রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্সকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।

শামসুল হকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।