কুড়িগ্রামে বন্যায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের অনেক এলাকাই প্লাবিত হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার তোলা। ছবি: সফি খান
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের অনেক এলাকাই প্লাবিত হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার তোলা। ছবি: সফি খান

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও তীব্র ভাঙনের কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে আটকে পড়া এসব মানুষ জ্বালানিসংকটের কারণে রান্না করতে পারছে না। উঁচু স্থানে গবাদিপশু রাখলেও গোখাদ্যের অভাবে গৃহকর্তা অসহায়।

জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রাম জলমগ্ন। এতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ পরিবারের ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ ঘরবাড়ি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বন্যায় ৪১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক এবং দুটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর জমির। জেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় চার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের জনতারহাট দাখিল মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে বন্যাকবলিত মানুষ। ছবি: সফি খান
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের জনতারহাট দাখিল মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে বন্যাকবলিত মানুষ। ছবি: সফি খান

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচ মেট্রিক টন জিআর চাল, নয় লাখ টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬ হাজার ৫২৫টি পরিবারকে দেওয়ার জন্য ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন ভিজিএফের বরাদ্দ উপজেলাগুলোয় বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি করে ত্রাণ দেওয়া হবে।