ওয়াসায় ১১ খাতে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক

ওয়াসার প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এ ছাড়া ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি ও রাজনৈতিক পরিচয় এবং কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেন প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন।

ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি নিয়ে এ ধরনের ১১ টি খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে তুলে দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনে দুর্নীতির উৎস তুলে ধরার পাশাপাশি এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২ দফা সুপারিশও তুলে ধরেছে দুদক।

দুদক কমিশনার বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি এখনো পানযোগ্য নয়। এর বিভিন্ন প্রকল্পে কালক্ষেপণের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে। কাজের চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। এতে কাজ তুলে নেওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, কাজের মান ও পরিসর বিবেচনা করে ওয়াসা যদি টাকা ছাড় করত তাহলে ভালো ফল পাওয়া যেত। বলা যায়, স্পষ্টতই এখানে ওয়াসার সংশ্লিষ্টতা আছে।

সরকারি ২৫ টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-অপচয়ের দিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করে দুদক। দলগুলোকে এসব প্রতিষ্ঠানের জনসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সফলতা ও সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা, সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও দুর্নীতির কারণ চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশনের নির্দেশনার আলোকে দুদকের দলগুলো প্রতিবেদন দাখিল করছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিমান, রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ ১৩ টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়াসা নিয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।

দুদক বলছে, ঢাকা ওয়াসার আইন, বিধি, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের নিমিত্ত সুপারিশমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিশনের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে একজন উপপরিচালক এবং একজন সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে ওয়াসার দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক দল তাদের অনুসন্ধানে ওয়াসার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং এ বিষয়ে সম্যক ধারণা যারা রাখেন তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহপূর্বক তা পর্যালোচনা করেন। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক টিম তাদের অনুসন্ধানকালে ওয়াসার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসহ ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক বিবৃতি, নিরীক্ষা ও অডিট প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে। সার্বিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক দল ওয়াসার দুর্নীতির উৎস ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে প্রণীত সুপারিশমালা প্রতিবেদন আকারে কমিশনে দাখিল করে।

দুর্নীতির উৎস
দুদকের প্রতিবেদনে ওয়াসায় দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্পকাজে দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ৮টি। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো—ওয়াসার প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের নকশা ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ করা হয় না। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ঢাকাসহ বৃহত্তর মিরপুর এলাকার পানির চাহিদা পূরণে মিরপুরের ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর অনুমোদন হয়। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী সরকারের ১৪২ কোটি, ওয়াসার ১০ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ৩৬৯ কোটি টাকাসহ মোট ৫২১ কোটি টাকার প্রকল্প ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের ২৯ মার্চের সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় ৫৭৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়, এর মধ্যে সরকারের ২০০ কোটি ৫ লাখ, ওয়াসার ১০ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ৩৬২ কোটি ৯৫ লাখ।

দুদক বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় ৫২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তব কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৬ দশমিক ৭২ ভাগ হলেও ঠিকাদার পরিশোধ করা হয়েছে ৩১৩ কোটি ৭১ লাখ, যা সংশোধিত ডিপিপি মূল্যের ৫৪ দশমিক ৭৫ ভাগ। এ ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতির সঙ্গে ঠিকাদারের পরিশোধিত বিলের অনেক পার্থক্য রয়েছে।

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধরে রাখতে নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক। এ ক্ষেত্রেও অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। যে কাজ হয়েছে সেই কাজের অগ্রগতির সঙ্গে ঠিকাদারের পরিশোধিত বিলের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থাকে মর্মে দুদক জেনেছে। এ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ হয়নি মর্মে অভিযোগ রয়েছে।

প্রকল্পে ধীর গতি
ভূ-উপরিস্থ পানি শোধন করে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ৪ হাজার ৫৯৭ কোটি ব্যয়ে ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার (ফেজ-৩) প্রকল্প’ ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্পের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছে দুদক।

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা (জশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ (ফেজ-১) প্রকল্প ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি।

ভূ-উপরিস্থ পানি শোধন করে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ৫ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প।’ ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা। প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৮ শতাংশ হলেও ঠিকাদারের হাতে চলে গেছে ২৩৮ কোটি টাকা।

রাজধানী ঢাকার গুলশান, বনানীসহ অন্যান্য এলাকায় পয়োবর্জ্য পরিশোধনের জন্য নেওয়া হয় ‘দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প।’৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের অগ্রগতি একেবারে নগণ্য। সরকারের খাত থেকে এ পর্যন্ত ১০১ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

‘ঢাকা মহানগরীর আগারগাঁও এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’ ২০১৭ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বরাদ্দ ২৪ কোটি টাকা। কিন্তু অগ্রগতি তেমন নেই।

‘ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পে’ বরাদ্দ ৩ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত এর মেয়াদ। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি নেই। কাজের অগ্রগতি না থাকলেও বিল পরিশোধ করা হচ্ছে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারদের।

প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা বলেছে দুদক। তারা বলেছে, পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের বিষয়ে এমন কিছু শর্তারোপ করা হয় যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ঠিকাদার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এ ছাড়া ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি ও রাজনৈতিক পরিচয় এবং কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেন বর্তমানে একটি প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে স্পেসিফিকেশন ও ডিজাইন অনুযায়ী প্রকল্পকাজ যথাসময়ে শেষ হয় না এবং প্রকল্পের ব্যয়ভার অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

ব্যক্তি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন, মিটার রিডিং ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়। ওয়াসা এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করায় প্রকৌশল ও রাজস্ব শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, যার মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা ওয়াসায় পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ওয়াসার বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীদের নির্ধারিত কার্য সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ওভারটাইম বিল দেওয়া হয় যা তাদের মূল বেতনের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ। অনেক ক্ষেত্রে কিছু প্রভাবশালী কর্মচারী ওভারটাইম না করেও ওয়াসার কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিল তুলে নেন।

দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপারিশ
চিহ্নিত করা দুর্নীতির প্রতিরোধে ১২ দফা সুপারিশ করেছে দুদক।

দুদক মনে করছে, চলমান প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ অপচয় বন্ধে বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থার অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে যৌথ পরিমাপ টিম ও মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে। এর ফলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারেরা প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে যথাযথভাবে করার বিষয়ে মনোযোগী হবেন। এতে সময়, অর্থ অপচয়, দুর্নীতি অনেকটাই কমে যাবে।

প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরির সময় কাজের যথার্থতা ও উপযোগিতা আছে কি-না তা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে আগেই নিশ্চিত হতে হবে। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যাতে অহেতুক না বাড়ানো হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন কমিটিতে দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ টেন্ডার ও কেনাকাটা যথাযথ হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয় ভিত্তিক শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার প্রকল্প পরিদর্শনসহ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে।

ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের আগে কাজের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ঠিকাদার যতটুকু কাজ করছে তার গুণগত মান যাচাইয়ের ওপরই তার বিল পরিশোধ করা উচিত।

ব্যক্তি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন, মিটার রিডিং ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ওয়াসা কর্তৃক ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেতে হবে। অবৈধ ওভারটাইম বিল রোধে ওয়াসার কর্মচারীদের জনবল কাঠামো সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। বেতনের সঙ্গে ওভারটাইম বিলের সমন্বয় সাধনসহ সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

প্রকল্পকাজ বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা ওয়াসার কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, যেমন: ঢাকা সিটি করপোরেশন, সওজ, বিদ্যুৎ বিভাগ ইত্যাদির সঙ্গে সুষ্ঠু সমন্বয় প্রয়োজন।

ওয়াসার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার লক্ষ্যে গণমাধ্যম, দুদক, অডিট বিভাগসহ নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। সেবা গ্রহীতাদের নিয়ে মাঝে মাঝে গণশুনানির আয়োজন করা উচিত।

ওয়াসার বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নাধীন অবস্থায় বিভিন্ন প্রকৌশলী সংস্থার বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত সার্ভিল্যান্স টিম কর্তৃক আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় প্রতিযোগিতামূলক প্রকাশ্য/ই-টেন্ডারিং, দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কার্যাদেশ প্রদান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ সিনিয়র কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব দিতে হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বুয়েটসহ অন্যান্য পেশাদার সংস্থাকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।