হজে যাওয়ার অনুমতি পেলেন সাবেক সাংসদ আমানুর

সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা। ফাইল ছবি
সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা। ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমানুর আজ বৃহস্পতিবার এই মামলায় আদালতে হাজির হন। তিনি হজে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন।

দীর্ঘ ৩৪ মাস কারাগারে থাকার পর আমানুর ৯ জুলাই জামিনে মুক্তি পান। জামিন পাওয়ার পর মুক্ত অবস্থায় এই প্রথম তিনি ফারুক হত্যা মামলায় আজ আদালতে হাজিরা দেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মহসিন সিকদার বলেন, টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মোজাম্মেল হোসেন সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন। এ নিয়ে এই মামলার ১৮ জন সাক্ষ্য দিলেন।

চিকিৎসকের সাক্ষ্য প্রদানের পর আমানুর রহমান খান রানা আইনজীবীর মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক রাশেদ কবির সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত আমানুর এর আগে ছয়বার পবিত্র হজ পালন করেছেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ফারুক হত্যা মামলায় গত মার্চে এবং এ মাসে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর ৯ জুলাই তিনি মুক্তি পান।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি।