নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ, দুদকের অভিযান

রাজধানীর বনশ্রীতে রাজউকের নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হয় বলে দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন -১০৬) অভিযোগ আসে, বনশ্রীতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অমান্য করে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। রাজউক ওই ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে দুই দফা নোটিশ দিয়েছে বলে দুদককে জানানো হয়। ওই আবাসন প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত নোটিশ অমান্য করলে রাজউকের সংশ্লিষ্ট জোন-৬–এর অথরাইজড অফিসারকে ভবনের নির্মিত অংশ উচ্ছেদের সুপারিশ করে দুদক দল।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সরেজমিন অভিযানে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয় দুদক দল। তারা অভিযোগ–সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা বিতরণে অনিয়ম প্রতিহত করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসে, সোনালী ব্যাংকের ফুলবাড়িয়া শাখায় ৩ নম্বর কুশমাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে শ্রমিকদের স্বাক্ষর ও টিপসই জাল করে টাকা তোলার চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপককে ফোন করে শ্রমিকদের অর্থ যথানিয়মে যাচাই-বাছাই করে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। দুদকের সুপারিশ আমলে নিয়ে উল্লিখিত অর্থ প্রদানে অধিকতর সচেতন হবেন মর্মে শাখার ব্যবস্থাপক দুদককে অবহিত করেন।

এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের কাকৈরখোলা পূর্বপাড়া গ্রামের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমিতে অবৈধভাবে গৃহ নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করার অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। দুদকের চিঠি পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান। পরে অবৈধভাবে নির্মিত গৃহ অপসারণের লক্ষ্যে উচ্ছেদ মোকদ্দমা (নম্বর-০৯/২০১৯-২০) সৃজন করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।