যমুনায় পানি কমছে, এখনো পানিবন্দী সোয়া লাখ

যমুনা নদীর পানি বগুড়ায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রৌহদহ, সারিয়াকান্দি, বগুড়া, ১৪ জুলাই। প্রথম আলোর ফাইল ছবি
যমুনা নদীর পানি বগুড়ায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রৌহদহ, সারিয়াকান্দি, বগুড়া, ১৪ জুলাই। প্রথম আলোর ফাইল ছবি

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি আড়াই সেন্টিমিটার কমেছে। বগুড়ায় এখনো প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দী।

মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ছয়টায় পানিপ্রবাহ ছিল ১৭ দশমিক ৯৮.৫ সেন্টিমিটার; অর্থাৎ, বিপৎসীমার ১২৮ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল নয়টায় পানি কমে ১৭ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটারে নেমেছে।

এখনো জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ১২৯টি গ্রামের ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী। বন্যায় ৩১ হাজার ৫৮৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১৪৫ বসতবাড়ি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ির। বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ৭৯টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ জলমগ্ন হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর।

বন্যায় প্রায় ৯ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকের জাগ দেওয়া কয়েক হাজার একর জমির পাট।

সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। যমুনার ঢলে ভেসে গেছে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরদলিকা, চরভাঙ্গুরগাছা, সুজনেরপাড়া, আউচারপাড়া গ্রামের কয়েক শ বসতঘর। এসব চরে বসবাসকারী মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বেশ কিছু এলাকায় এখনো সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুর্গতদের জন্য ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৩৩৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১০ লাখ টাকা চাহিদা পাঠানো হয়েছে।