বাগমারায় শিশুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সূর্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিশুর নাম মিজান (৬)। সে সূর্যপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কোনো কারণ থাকতে পারে। গলাকাটা চক্রের কাজ বলে এলাকায় প্রচার হলেও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

শিশুর মা ফিরোজা বেগম বলেন, গতকাল রাতের খাবার খেয়ে তাঁরা একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশুকে প্রাকৃতিক কাজ সারানোর পর ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে তাঁরা ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে শিশু চিৎকার শুরু করলে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় শিশুর গলা থেকে রক্ত বের হতে দেখে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

শিশুর মা বলেন, কারা কী কারণে তাঁর ছেলের গলাকাটার চেষ্টা করেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। কারওর সঙ্গে তাঁদের কোনো বিরোধ নেই। শয়ন কক্ষের দরজা খোলা থাকায় কেউ ভেতরে ঢুকে বা জানালা দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেছে। কাউকে পালাতে বা গলায় আঘাত করতেও দেখেননি।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় শিশুর দাদা লুৎফর রহমান বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলার রগ কাটেনি। গলার কাটা স্থানে সেলাইয়ের জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাতি আশঙ্কামুক্ত।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ঘরের ভেতরে থাকা ড্রেসিং টেবিলের কাচ ভেঙে শিশুর গলায় ক্ষত হয়েছে। পারিবারিক কোনো সমস্যা থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে শিশুর মা দাবি করেন, মিজানের গলা থেকে রক্ত বের হওয়ার পর তাকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার পর কাচ ভেঙে গেছে। খাট থেকে ড্রেসিং টেবিলের দূরত্বও অনেক।