বন্যায় কমলগঞ্জের রাস্তা ভাঙাচোরা

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ১০টি রাস্তার প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশ ভেঙেচুরে গেছে। কোথাও কোথাও বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কয়েকটি গ্রামে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ।

কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় বলছে, উপজেলা সদরের ভানুগাছ ভায়া চৈত্যনগঞ্জ মূল সড়কের রামপাশা এলাকায় পানির তোড়ে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙে গেছে। চার দিন ধরে তিনটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। ভানুগাছ-সরইবাড়ি রাস্তার ৯০০ মিটার, আদমপুর জিসি, ভানুগাছ জিসি ভায়া ইসলামপুর রাস্তার ২০০ মিটার, আদমপুর আদকানী বাজার ভায়া কাউয়ারগলা রাস্তার ৪০০ মিটার, আদমপুর ইউনিয়ন অফিস ভায়া ভানুবিল-জাঙ্গালিয়া মঙ্গলপুর রাস্তার ১০০০ মিটার, গোলের হাওর-ইসলামপুর অফিস রাস্তার ১০০ মিটার, আলীনগর চৌমুহনী ভায়া পূর্ব কালীপুরের ২০০ মিটার রাস্তাসহ সারা উপজেলায় প্রায় ৬ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর বিভিন্ন অংশের পিচ ও পাথর সরে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তার ৫ থেকে ১০ ফুট বন্যার পানিতে একেবারে ভেঙে গেছে। রাস্তাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ছোট–বড় অনেক গর্ত। ভাঙা রাস্তায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পথচারীরা চলাচল করছে।

কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, আলীনগরের ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক, আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন ও ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, বন্যায় পানির স্রোতে রাস্তাগুলোর এমন দশা হয়েছে।

এলজিইডির কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যায় কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেড় কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে। সব ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তহবিল আসার পর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করা হবে।