পদ্মায় ভাঙন, ফেলা হবে বালু ভরা জিও ব্যাগ

পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত চার দিনে দ্বিগুণ হারে পানি বৃদ্ধির করণে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কাল শনিবার থেকে ভাঙন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে গড়াই নদেও পানি বেড়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া শহরসংলগ্ন চরাঞ্চলের বাড়িগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জরুরিভাবে ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার বরাদ্দ পেয়েছে পাউবো।

আজ শুক্রবার হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে পানির উচ্চতা ১২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার। পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। পানির উচ্চতা বাড়ছে গড়াইয়েও। গড়াই নদের কুমারখালী রেলসেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা নির্ধারিত হয় ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গড়াইয়ে সেখানে গতকাল সকালে পানির উচ্চতা ছিল ১০ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার।

পাউবো সূত্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও পদ্মা নদীতে শুরুতে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু গত চার থেকে পাঁচ দিনে পদ্মা নদীর কুষ্টিয়া অংশে ব্যাপক হারে পানি বেড়ে যাচ্ছে। এতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ফসলি মাঠ বিলীন হতে শুরু করেছে। পদ্মা নদীর এই অংশের পাশেই কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক। জরুরিভাবে ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি ১০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, তিন-চার দিন ধরে ব্যাপক এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি পাঁচ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ পেয়েছেন। এ ছাড়া পাবনার এক ঠিকাদারও পাঁচ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার কাজ পেয়েছেন। বালু ভর্তি করে ব্যাগ প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে যেভাবে ভাঙছে, তাতে ৫০ হাজার বস্তা ফেলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

পাউবো সূত্র জানায়, প্রতি বালুভর্তি জিও ব্যাগ প্রস্তুত করতে ৩৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতেই জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুণ্ডু প্রথম আলোকে বলেন, তালবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীর অন্তত ২৯০ মিটার অংশ ঝুঁকিতে আছে। সেখানে জরুরিভাবে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য অংশেও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। পাউবোর কর্মকর্তারা সতর্ক আছেন। ছুটির দিনেও তাঁরা মাঠে কাজ করছেন।