শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে দুই দিনে ৫ জনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে শুক্র ও শনিবার তিন শিশুসহ অন্তত পাঁচনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে শুক্রবার দিনে দুই শিশু ও এক কিশোরের, রাতে এক ব্যক্তির ও শনিবার বিকেলে এক শিশুর মৃত্যু হয়।


শনিবার বিকেলের দিকে উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত যোগিনীমুরা নামাপাড়া গ্রামের মারা যায় শিশু নূপুর (৭)। সে ওই এলাকার নয়ন মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক শিশুর সঙ্গে বেড়ানোর সময় কলা গাছের ভেলা উল্টে পানিতে ডুবে যায় নূপুর। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তার লাশ উদ্ধার করেন। শেরপুর ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র দেবনাথ নূপুরের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার রাত দশটার দিকে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত কুলুরচর ব্যাপারীপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যান মো. হারুন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত দশটার দিকে হারুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে পা পিছলে বন্যার পানিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। শেরপুরের সিভিল সার্জন মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, পানিতে না পড়লে হয়তো ওইসময় হারুনের মৃত্যু হতো না।

শুক্রবার বিকেলে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের (ইউপি) সাত পাকিয়া গ্রামে বাড়িতে ওঠা বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায় শিশু খুশি (৭)। ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী খুশির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর গৌরীপুর ও চরভাবনা নামাপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে এক কিশোর ও এক শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো, উত্তর গৌরীপুর এলাকার নায়েব আলীর ছেলে মেহেদি হাসান (১৩) ও চরভাবনা নামাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শামীম (৫)। মেহেদি স্থানীয় পাইওনিয়ার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদি তার বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পেছনে বন্যার পানিতে কলাগাছের তৈরি ভেলা নিয়ে ঘুরতে যায়। এ সময় ভেলাটি উল্টে গেলে সাঁতার না জানায় মেহেদি পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর সহপাঠীদের সঙ্গে বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে শিশু শামীম ও তার আরেক সহপাঠী আরিফ (৫) ডুবে যায়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরিফ একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেহেদি ও শামীমের মৃত্যুতে পৃথক দুটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল ইসলাম।