শাহজালালে বিদ্যুৎ-পানির পরিস্থিতি স্বাভাবিক

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার সমস্যার পর বিদ্যুৎ ও পানির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। উত্তরার কাউলায় রেলওয়ের জমিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় বিদ্যুতের তার ও পানির সংযোগ কাটা পড়ায় বিমানবন্দরে ওই সমস্যা দেখা দেয়।

সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ রোববার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমানবন্দরে পানি ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার ভোর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় ডেসা এবং ওয়াসার সহযোগিতায় খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হয়। দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হওয়ার কারণে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ওয়াসা এবং ডেসাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিজস্ব বিকল্প ব্যবস্থায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এর আগে বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, কাউলা এলাকায় রেললাইনের পাশের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা দেখা দেয়। তবে জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। একইভাবে নিজস্ব ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ সচল রাখা হয়। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে বোর্ডিংয়ের কার্যক্রম ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সচল রাখা হয়। পুরো বিমানবন্দরে আলোর স্বল্পতা দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সমস্যা বেশি ছিল। পরে কিছুটা কমতে থাকে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, উত্তরার কাউলা এলাকায় রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় বিমানবন্দরের দুইটি বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এ ছাড়া পানির লাইনও কেটে যায়। তবে জেনারেটর দিয়ে সবকিছু সচল রাখা হয়।