নাশকতার মামলায় বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মী কারাগারে

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলায় বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ওই নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম সরকারের আদালতে আজ দুপুরে ওই ৩০ জন উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। তবে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হেলালসহ ৩০ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অক্ষয় কুমার রায়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় ডিমলায় জামায়াতের আমির মহিউর রহমান নাশকতার উদ্দেশ্যে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানা-পুলিশ ওই বৈঠক স্থলে অভিযান চালায়। এ সময় মহিউর রহমানসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থালে থাকা ৬০ থেকে ৭০ জন নেতা-কর্মী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ডিমলা থানার উপপরিদর্শক সবুজ আলী বাদী হয়ে ২০১৩ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৭৫ নেতা-কর্মীদের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র জামা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সোয়েম বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হন।

ডিমলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘মামলায় জামায়াত-শিবিরের বৈঠকের কথা বলা হলেও রাজনৈতিক কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জড়ানো হয়েছে।’

বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, দীর্ঘ তদন্তে জামায়াত-শিবির ছাড়াও বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাঁদের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।