শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। রোববার অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের অনুসন্ধান কমিটি শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। সোমবার উপাচার্য বরাবর আমরা কমিটির ফাইন্ডিং জমা দেব। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

গত ২৫ ও ২৭ জুন ওই দুই ছাত্রী ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করেন। এরপর ইনস্টিটিউটের পরিচালককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। ২৮ জুন দুই ছাত্রীর নিরাপত্তা চেয়ে মতিহার থানায় জিডি করা হয়।

৩ জুলাই ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে ইনস্টিটিউটের কমিটিসহ বেশ কিছু বিষয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছি। তবে আমার মনে হয়েছে, শুরু থেকেই কমিটি আমাকে অসহযোগিতা করে চলেছে। কমিটির পক্ষ থেকে তিনবার আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি যথাসময়ে উপস্থিত হলেও প্রথম দুইবার জবানবন্দির কপিতে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অভিযোগকারী ছাত্রীর অভিযোগপত্রে নাম ছিল এমন শিক্ষককে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাই এই কমিটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।’

এ বিষয়ে পরিচালক মো. আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের সপক্ষে সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।’