সীতাকুণ্ডের স্কুলে ছড়াল গুজব

ভাঙা বেসিন পড়ে রয়েছে মেঝেতে। টয়লেটের ভেতর ও সিঁড়িতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। বিদ্যালয়ের বাইরে অভিভাবকদের বসার চেয়ারগুলো পুকুরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় এ অবস্থা দেখে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যে ছেলেধরা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিদ্যালয়টি ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ এলাকায় গ্রামার পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।

বেসিন ও চেয়ারগুলো ভাঙচুর করেন আবুল মুনছুর নামের এক ব্যক্তি। তিনি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আবুল মুনছুর প্রথম আলোকে বলেন, ছয় মাস আগে বিদ্যালয়টি সরিয়ে নিতে বললেও কর্তৃপক্ষ  ভবনটি ছাড়ছে না। গত রোববার রাতে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা অভিভাবকদের বসার চেয়ারগুলো তাঁর গায়ে লাগায় তিনি সেগুলো তুলে পুকুরে ফেলে দেন। পরে হাত ধুতে বিদ্যালয়ের টয়লেটে থাকা বেসিনে গেলে সেটি ভেঙে তাঁর পায়ে পরে। এতে রক্তক্ষরণ হয়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাহিদ শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, আবুল মুনছুর এমনভাবে রক্তের দাগ রেখে যান, যাতে অভিভাবকেরা এসে দেখতে পায়। মুহূর্তেই শিশুর মাথা কাটার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুজব আতঙ্ক কাটাতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টির অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।