'মাদক সম্রাট' ইশতিয়াকের সম্পদের খোঁজে দুদক

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী পাখির অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ইশতিয়াকের একটি ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে সংস্থাটি।

দুদক সুত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার ইশতিয়াক ও পাখির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে তারা। এই মাদক ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পদের বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান।

সূত্র আরও জানায়, দুজনে পাঠানো আলাদা নোটিশে ২১ দিনের মধ্যে তাদের যাবতীয় সম্পদ ও তার উৎস সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে ঢাকার আশুলিয়ার আরফিন ভিলা নামে একটি বাড়িতে। ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী পাখিকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ওই বাড়িতে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

দুদক তার প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুজনের নামে সাভারের বাইপাইলে একটি ৬ তলা বাড়ি, বিলমালিয়ায় একটি ১তলা বাড়ি, আশুলিয়ায় একটি ৭ তলা বাড়ির সন্ধান পেয়েছে। এছাড়া একটি ব্যাংক হিসেবে ৫৫ লাখ টাকা রয়েছে। তাদের বিপুল সম্পদের খুবই ছোট একটি অংশ বলে ধারণা করছে দুদক।

রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জেনেভা ক্যাম্পের ইসতিয়াক আহমেদ। বিভিন্ন সূত্র বলছে, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করেন তিনি। তবে জেনেভা ক্যাম্প ছাড়িয়ে গাবতলী, আমিনবাজার, সাভার এলাকায় তার ব্যবসার ব্যাপ্তি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে ইশতিয়াক সাভার আশুলিয়ায় নাম পরিবর্তন করে কামরুল ইসলাম নামে পরিচিত।

সূত্রমতে, ইশতিয়াকের জম্ম ও বেড়ে ওঠা রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে। ছোটোবেলায় টোকাই হিসেবে পরিচিতি ছিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসার সঙ্গে। এরপর থেকেই আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয় তার। মাদকের বাজারে নিজেকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যান, পরিচিত হন মাদক সম্রাট হিসেবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইশতিয়াকের নিজের পরিবহন ব্যবসা আছে। নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান আনে ইশতিয়াক। এই ইয়াবার চালান রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইশতিয়াক ও তার স্ত্রীর যেসব সম্পদের বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে সেগুলো শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হবে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।