ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন তিন তরুণকে গণপিটুনি

পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলার তিনটি পৃথক স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে তিন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, পঞ্চগড় জেলা শহরের তুলারডাঙ্গা এলাকায় সোমবার রাত আটটার দিকে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণ এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন অপর তরুণ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে সদর থানা–পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দুই তরুণ নিজেদের নাম–ঠিকানা কোনো কিছুই বলতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জোব্বার সরকার বলেন, ওই দুই তরুণ তাঁদের নাম–ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না। মানসিক ভারসাম্যহীন নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে সোমবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের সবুজপাড়া এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে দেবীগঞ্জ থানা–পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই তরুণ নিজের নাম বলেছেন সাজেদুল ইসলাম। তিনি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সাহাপুর এলাকার মো. মন্টুর ছেলে। তাঁর দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মঙ্গলবার পরিবারের লোকজন এসে পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে নিয়ে যান।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হাসান সরকার বলেন, সাজেদুলকে তাঁর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন মাস আগে সাজেদুল হারিয়ে গেছেন বলে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় তাঁর বাবা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।