রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ায় দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান জন্ম ও মৃত্যুসনদ নিবন্ধন বিধিমালা না মানায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ১৬ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ওই দুই চেয়ারম্যান হলেন—নিয়ামত আলী ও মুজিবর রহমান। নিয়ামত নাগেশ্বরী উপজেলার ৬ নম্বর সন্তোষপুর ইউপির চেয়ারম্যান। মুজিবর একই উপজেলার ১২ নম্বর নারায়ণপুর ইউপির চেয়ারম্যান।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ামত আলী ও মুজিবর রহমান জন্ম ও মৃত্যুসনদ নিবন্ধন বিধিমালা মানেননি। তাঁরা কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের ফাতেমা খাতুন (২৬), মীম খাতুন (২৫), আলেয়া খাতুন (২৬) ও নুড়িকা খাতুন (২৫) নামের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্মসনদ দিয়েছেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে ওই শরণার্থীরা ৩ এপ্রিল কুড়িগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে গেলে তাঁরা পুলিশের কাছে আটক হন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, দুই ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি আদেশ অমান্য করেছেন। এ জন্য সরকার মনে করছে তাঁদের হাতে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা থাকাটা সমীচীন হবে না। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখনো ওই আদেশের কাগজ পাইনি।’

নাগেশ্বরী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান বলেন, শিগগিরই ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের নিয়ে পৃথক সভা আহ্বান করা হবে। সেই সভায় সবার মতের ভিত্তিতে নতুন দুজন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে।